সূচীপত্র

অনুচ্ছেদ বিবরন পৃষ্ঠা নং
অনুচ্ছেদ-১ মুখবন্ধ
অনুচ্ছেদ-২ গ্রন্থাগারের নাম স্লোগান
অনুচ্ছেদ-৩ পদ্মা (PADMA)এর পূর্ণ অর্থ
অনুচ্ছেদ-৪ গ্রন্থাগারের ঠিকানা
অনুচ্ছেদ-৫ প্রতিষ্ঠার তারিখ
অনুচ্ছেদ-৬  প্রতিষ্ঠানের প্রকৃতি
অনুচ্ছেদ-৭ গ্রন্থাগারের মূল উদ্দেশ্য
অনুচ্ছেদ-৮ গ্রন্থাগারের লক্ষ্যসমূহ ৪-৫
অনুচ্ছেদ-৯ মনোগ্রাম ও প্রতীক
অনুচ্ছেদ-১০ কর্মবৎসর
অনুচ্ছেদ-১১ সদস্য ৫-৭
 অনুচ্ছেদ-১২ সদস্য পদ বাতিল ৭-৮
অনুচ্ছেদ-১৩ সদস্যদের অধিকার ও কর্তব্য
অনুচ্ছেদ-১৪ উপদেষ্টা পরিষদ
অনুচ্ছেদ-১৫ কার্যনির্বাহী পরিষদ
অনুচ্ছেদ-১৬ কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন/নির্বাচন ৯-১০
অনুচ্ছেদ-১৭ এডহোক কমিটি গঠন ১০
অনুচ্ছেদ-১৮ উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ১০
অনুচ্ছেদ-১৯ কার্যনির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা ১১-১৩
অনুচ্ছেদ-২০ পদত্যাগ/ পদ শূন্য ১৪
অনুচ্ছেদ-২১ সভাসমুহ ১৪
অনুচ্ছেদ-২২ কোরাম ১৪
অনুচ্ছেদ-২৩ তহবিল সংগ্রহ এবং ব্যবহার ১৫
অনুচ্ছেদ-২৪ তহবিল সংরক্ষন ও পরিচালনা ১৫
অনুচ্ছেদ-২৫ হিসাব নিরীক্ষা ১৫
অনুচ্ছেদ-২৬ গঠনতন্ত্র সংশোধন ১৫
অনুচ্ছেদ-২৭ প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্তি ১৫

অনুচ্ছেদ-১।মুখবন্ধঃ

বই পড়ি, উন্নত সমাজ গড়ি। এই শ্লোগানকে সামনে রেখে যাত্রা শুরুর পদ্মা লাইব্রেরির।  বাংলাদেশের উত্তরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামে প্রত্যন্ত অজপাড়া-গাঁয়ে প্রতিষ্ঠিত এই গ্রন্থাগারটি। গ্রন্থাগারটি নামকরণ করা হয়েছে “পদ্মা লাইব্রেরী”“পদ্মা” অক্ষর জ্ঞানহীন গ্রামবাংলার একজন অতি সাধারণ নারী। যিনি চোখ থাকতেও অন্ধ। পদ্মা রানীর মত হাজার হাজার অক্ষর জ্ঞানহীন নারী গ্রাম বাংলায় রয়েছেন, যারা নিজেদেরকে চোখ থাকতেও অন্ধ ভাবেন। পারিবারিক, আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট এবং নানাবিধ কারণে হয়তো এ সকল নারীরা শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থেকে  বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু তাই বলে একটি পরিবারে এই সকল নারীদের অবদান কোন অংশেই কম নয়।

“পদ্মা” একটি প্রতীকী নাম। হাজার হাজার পদ্মা নীরবে নিভৃতে তাদের পরিবারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দিনরাত। নাম না জানা এরকম হাজারো পদ্মার প্রতি শ্রদ্ধা এবং সম্মান রেখেই গ্রন্থাগারটির নামকরণের সিদ্ধান্ত। আমাদের আশে পাশে একটু তাকালেই দেখতে পাই নতুন প্রজন্ম ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছেl নানা রকম খারাপ নেশায় আসক্ত তরুণ সমাজ। সংস্কৃতি চর্চা, খেলাধুলা কিংবা জ্ঞান আহরণ সবকিছু থেকেই বর্তমানে তরুণ সমাজ ধীরে ধীরে দূরে চলে যাচ্ছে। এদেরকে গ্রন্থাগারমুখী করতে পারলে হয়তো ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে মানসিকতার বিকাশ ঘটানো সম্ভব। তরুণ সমাজ গ্রন্থাগারে যাবে, নিজে বিকশিত হবে, সময়োপযোগী নির্ভরযোগ্য তথ্য খুজে নিবে, ভালো ভালো জ্ঞানের বই পড়বে, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান অর্জন করবে, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস জানবে, এলাকা তথা দেশের সার্বিক উন্নয়নে নিজেদেরকে যোগ্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে এই লক্ষ্য নিয়েই গ্রন্থাগারটির পথ চলা।

অনুচ্ছেদ২। গ্রন্থাগারের নাম স্লোগান:

পদ্মা গ্রন্থাগার (PADMA Library)

বই পড়ি, উন্নত সমাজ গড়ি। 

অনুচ্ছেদ-৩। পদ্মা(PADMA) এর পূর্ণ অর্থঃ

P=Pick up knowledge (জ্ঞান আহরণ করুন)

  A=Access to more information (অধিক তথ্য গ্রহন করুন)

D=Develop yourself (নিজেকে বিকাশ করুন)

M=Make the nation greater (জাতিকে আরও সমৃদ্ধ করুন)

A=Act as good citizen (সুনাগরিক হিসাবে কাজ করুন)

অনুচ্ছেদ-৪। গ্রন্থাগারের ঠিকানাঃ

গ্রামঃ বাসুদেবপুর, ডাকঘরঃ দৌলতপুর, থানাঃ ঠাকুরগাঁও,         জেলাঃ ঠাকুরগাঁও।

অনুচ্ছেদ-৫। প্রতিষ্ঠার তারিখঃ

    অক্টোবর ০১, ২০২০ ইং

অনুচ্ছেদ-৬। প্রতিষ্ঠানের প্রকৃতিঃ

ইহা একটি বেসরকারি পাঠাগার কেন্দ্রীক সমাজ-কল্যাণমূলক ধর্ম নিরপেক্ষ, অরাজনৈতিক ও অলাভজনক উদারচিত্ত জ্ঞান বিকাশের প্রতিষ্ঠান।   

অনুচ্ছেদ-৭। গ্রন্থাগারের মূল উদ্দেশ্যঃ

গ্রন্থাগারের মূল উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থী তথা সাধারণ জনগণকে বই পড়তে উৎসাহিত করা এবং একটি উন্নত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

অনুচ্ছেদ-৮। গ্রন্থাগারের লক্ষ্যসমূহ:

  • পরিশীলিত জীবন গঠনের লক্ষ্যে সমৃদ্ধিশালি পাঠাগার স্থাপন ও জনগনের পাঠদান সেবা প্রদান।
  • এলাকার আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তা প্রদান।
  • এলাকাবাসির জন্য বই পড়ার মাধ্যমে সুস্থ অবসর বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি করা।
  • সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবে দায়িত্ব পালন।
  • সন্ত্রাস, অপসংস্কৃতি ও কুসংস্কারের বিপরীতে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা, খেলাধুলা ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা।
  • শিক্ষার্থী এবং সাধারণ জনগণ যে বইগুলির প্রতি বেশি আগ্রহ সেগুলি খুঁজে পেতে সহায়তা করার জন্য গ্রন্থাগারটি গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করা।
  • শিক্ষার্থীদের এবং সাধারণ জনগণকে তাদের মৌলিক বিষয় গুলির বাইরে অন্যান্য বিষয় পড়তে উৎসাহিত করা।
  • শিক্ষার্থীদের বই পঠনে মনোনিবেশ পরিবেশ তৈরি করা এবং শিক্ষার বিস্তার করা।

অনুচ্ছেদ-৯মনোগ্রাম ও প্রতীকঃ  

পদ্মা লাইব্রেরীর প্রতীক হিসেবে একটি বই এবং বইয়ের একপাশে P অর্থাৎ পদ্মা এবং আরেক পাশে L অর্থাৎ লাইব্রেরী চিহ্ন দেওয়া হয়েছে।

অনুচ্ছেদ-১০ কর্মবৎসরঃ    

প্রতিষ্ঠানের কর্মবৎসর হবে ১লা  জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর।

অনুচ্ছেদ-১১সদস্যঃ     

প্রতিষ্ঠানটিতে ৪(চার) ধরনের সদস্য থাকবেন।

(ক) উপদেষ্টা সদস্য

(খ) আজীবন সদস্য

(গ) সাধারন সদস্য ও

(ঘ) শিশু-কিশোর সদস্য

অনুচ্ছেদ-১১।(ক) উপদেষ্টা সদস্যঃ

  • এলাকার বিদ্যালয়ের শিক্ষক, গন্যমান্য ব্যাক্তি ও সুশিক্ষিত লোকজন নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হবে। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনে ভোট দিতে পারবেন না। তবে যদি কেউ আজীবন সদস্য হয় তাহলে কার্যনির্বাহী পরিষদে ভোট দিতে পারবেন।

অনুচ্ছেদ-১১(খ) আজীবন সদস্যঃ

  • দাতা সদস্য ব্যাক্তি উক্ত প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য হিসাবে মনোনীত থাকবেন। তবে দাতা সদস্যের অবর্তমানে তাঁর পরিবারের সদস্যের মধ্যে থেকে একজন আজীবন সদস্য হিসাবে মনোনীত থাকবেন।
  • বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্রের শর্তাদি পালন সাপেক্ষে এবং এককালীন কমপক্ষে ৫০০০/= টাকা জমা দিয়ে প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য হতে পারবেন।
  • আজীবন সদস্যদের মাসিক বা বাৎসরিক কোন চাঁদা বা কোন ফি দিতে হবেনা।
  • আজীবন সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে ডিগ্রি পাশ হতে হবে (তবে বিশেষ বিবেচনায় শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথি লযোগ্য হতে পারে)।
  • প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্যগণ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনে মনোনয়ন/ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

অনুচ্ছেদ-১১(গ) সাধারন সদস্যঃ  

  • প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক (১৮ বছরেরে উপরে)এ প্রতিষ্ঠানের সাধারন সদস্য হতে পারবেন।
  • সাধারন সদস্য হতে ইচ্ছুক যেকোনো ব্যাক্তিকে প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ফর্মে দুই কপি রঙিন ছবি সহ আবেদন করতে হবে।
  • প্রত্যক সাধারন সদস্যের ভর্তি ফি ১০০/= টাকা। ধারে বই নিয়ে পড়ার জন্য এককালীন নিরাপত্তা জামানত (ফেরতযোগ্য)১০০/= টাকা প্রদান করতে হবে।

অনুচ্ছেদ-১(ঘ) শিশু-কিশোর সদস্যঃ

  • প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে এলাকার ১৮ (আঠারো) বছর পর্যন্ত যেকোনো শিশু-কিশোর ও ছাত্র/ছাত্রীগণ এই শ্রেণীর সদস্য হতে পারবেন।
  • এই শ্রেণীর সদস্য হতে আগ্রহী শিশু-কিশোর অথবা ছাত্র/ছাত্রীকে প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ফর্মে দুই কপি রঙিন ছবি সহ আবেদন করতে হবে।
  • প্রত্যেক শিশু-কিশোর অথবা ছাত্র/ছাত্রী সদস্যদের নিকট ভর্তি ফি বাবদ কোন প্রকার টাকা গ্রহন করা হবেনা এবং বার্ষিক কোন প্রকার ফি নেই। তবে ধারে বই নিয়ে পড়ার জন্য এককালীন নিরাপত্তা জামানত (ফেরতযোগ্য)১০০/= টাকা প্রদান করতে হবে।
  • কোন শিশু-কিশোর অথবা ছাত্র/ছাত্রী যদি ধারে বই উত্তোলন করেন তবে উত্তোলনক্রিত বই একসাথে ১৫ (পনের) দিনের বেশি রাখা যাবে না।
  • কোন শিশু-কিশোর অথবা ছাত্র/ছাত্রীর বয়স ১৮ (আঠার) বছর পূর্ণ হলেই আপনাআপনি ভাবেই সাধারন সদস্য হিসাবে স্থানান্তরিত হবে। তবে স্থানান্তরিত সাধারন সদস্যকে ভর্তি ফি বাবদ ১০০/= টাকা, ধারে বই নিয়ে পড়ার জন্য এককালীন নিরাপত্তা জামানত (ফেরতযোগ্য)১০০/= টাকা প্রদান করতে হবে।

 

অনুচ্ছেদ-২। সদস্য পদ বাতিলঃ

(ক) শিশু-কিশোর সদস্যঃ

  • প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিপন্থী (অনুচ্ছেদ-৮ মোতাবেক)কোন কাজে লিপ্ত থাকলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা করে যেকোনো শিশু-কিশোর অথবা ছাত্র/ছাত্রীর সদস্য পদ বাতিল করা যাবে।
  • কোন সদস্য বই ধার গ্রহন করার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বা পরবর্তীতে তাগিত দেওয়ার পরেও বই ফেরত না দিলে কার্যনির্বাহী পরিষদে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে তাঁর সদস্য পদ বাতিল ও জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্ত করা যাবে।
  • কোন শিশু-কিশোর অথবা ছাত্র/ছাত্রীর বয়স ১৮ (আঠার) বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলে তাঁর শিশু-কিশোর সদস্য পদ বাতিল বলে গণ্য হবে।

(খ) সাধারন সদস্যঃ

  • প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিপন্থী (অনুচ্ছেদ-৮ মোতাবেক)কোন কাজে লিপ্ত থাকলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা করে যেকোনো সাধারন সদস্যের সদস্য পদ বাতিল করা যাবে।
  • কোন সদস্য বই ধার গ্রহন করার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বা পরবর্তীতে তাগিত দেওয়ার পরেও বই ফেরত না দিলে কার্যনির্বাহী পরিষদে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে তাঁর সদস্য পদ বাতিল ও জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্ত করা যাবে।

(গ) আজীবন সদস্যঃ

  • প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিপন্থী (অনুচ্ছেদ-৮ মোতাবেক)কোন কাজে লিপ্ত থাকলে সাধারন সভা আহবান করে যেকোনো আজীবন সদস্যের সদস্য পদ বাতিল করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে সু-নিদিষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ পত্র দাখিল করতে হবে।

(ঘ) উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যঃ

  • প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিপন্থী (অনুচ্ছেদ-৮ মোতাবেক)কোন কাজে লিপ্ত থাকলে আজীবন সদস্য কতৃক সভা আহবান করে যেকোনো উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সদস্য পদ বাতিল করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে সু-নিদিষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ পত্র দাখিল করতে হবে।

 

(ঙ) কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যঃ

  • প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিপন্থী (অনুচ্ছেদ-৮ মোতাবেক)কোন কাজে লিপ্ত থাকলে আজীবন সদস্য কতৃক সভা আহবান করে যেকোনো কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের সদস্য পদ বাতিল করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে সু-নিদিষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ পত্র দাখিল করতে হবে।

 

অনুচ্ছেদ-৩ সদস্যদের অধিকার ও কর্তব্যঃ

  • প্রতিস্থানের সকল সদস্য প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজে সম অধিকারের ভিত্তিতে অংশগ্রহন করবে।
  • গ্রন্থাগারের পাঠক কক্ষ সমূহ গ্রন্থাগারের সদস্যগণ ছাড়াও এলাকার সকল মানুষের জন্য উম্মুক্ত থাকবে।
  • গ্রন্থাগার থেকে ধারে পড়ার সুবিধা প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের মধ্যে সিমাবদ্ধ থাকবে। তবে পরবর্তীতে কার্যনির্বাহী সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে পরিবর্তন করা হতে পারে।
  • পৃথকভাবে প্রণীত নীতিমালার আওতায় বই ধার সেবা পরিচালিত হবে।

 

অনুচ্ছেদ-১৪উপদেষ্টা পরিষদঃ

  • অনুছেদ-১০(ক) এর বিধান অনুযায়ী গ্রন্থাগারের জন্য নিম্নরুপ কাঠামো অনুযায়ী একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে।

১. প্রধান উপদেষ্টাঃ                 ১ জন

২. উপদেষ্টাঃ                    ১৯ জন

  • উপদেষ্টা পরিষদ গ্রন্থাগার পরিচালনার জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবে।
  • প্রতিষ্ঠানের সার্বিক স্বার্থে উপদেষ্টা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা পরিবর্তনযোগ্য।

অনুচ্ছেদ-৫। কার্যনির্বাহী পরিষদঃ  

প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য ১৩ (তের) সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ থাকবে।

১. সভাপতিঃ                         ১ জন

২. সহ-সভাপতিঃ                      ৩ জন

৩. সাধারণ সম্পাদকঃ                   ১ জন

৪. সহ-সাধারন সম্পাদকঃ                ১ জন

৫. সাংগঠনিক সম্পাদকঃ                 ১ জন

৬. কোষাধ্যক্ষঃ                       ১ জন

৭. গ্রন্থাগার সম্পাদকঃ                   ১ জন

৮. সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ          ১ জন

৯. সমাজ কল্যাণ সম্পাদকঃ               ১ জন

১০. দপ্তর সম্পাদকঃ                    ১ জন

১১. সদস্যঃ                          ১ জন

  • কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদকাল থাকবে ৪ (চার) বছর।
  • প্রতিষ্ঠানের সার্বিক স্বার্থে কার্যনির্বাহী পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা পরিবর্তনযোগ্য।

অনুচ্ছেদ-১৬। কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন/নির্বাচনঃ

  • কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল পদ পাঠাগারের বিষয়ে আগ্রহী থাকবেন এমন ব্যক্তিবর্গ মনোনীত হবেন।
  • কার্যনির্বাহী পরিষদ শুধু মাত্র আজীবন সদস্য কর্তৃক মনোনয়ন/নির্বাচন/ভোট প্রদানের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হবে।
  • কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ শেষের তিন মাস পূর্বে উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে হতে অথবা কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন পদের পদপ্রার্থী নন এমন একজন নিরপেক্ষ ব্যেক্তিকে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দিতে হবে।
  • নির্বাচন কর্মকর্তা দুই মাসের মধ্যে আজীবন সদস্য কর্তৃক নির্বাচন / ভোট (গোপন ব্যালট) এর মাধ্যমে একটি নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করে দিবে।
  • তবে শর্ত থাকে যে, সাধারণ সভায় আজীবন সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য যদি নির্বাচন না চায় তবে নির্বাচন না করে উক্ত সভাতেই মনোনয়নের মাধ্যমে নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা যেতে পারে।
  • নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের পরবর্তী ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে পুরাতন কার্যনির্বাহী পরিষদ নবগঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।
  • কোন কারণে কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদকালের শেষ ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হলে উক্ত মেয়াদকালের পর পুরাতন কার্যনির্বাহী পরিষদ আপনা আপনি বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে। সেক্ষেত্র সভাপতি অনধিক সাত সদস্যের একটি এডহোক কমিটি গঠন করে দিবেন।
  • কার্যনির্বাহী পরিষদের কার্যক্রম যদি সন্তোষজনক পরিলক্ষিত না হয় তাহলে আজীবন সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদ বিলুপ্ত করে নতুন করে কমিটি গঠন করার ক্ষমতা রাখে।

 

অনুচ্ছেদ-১৭। এডহোক কমিটি গঠনঃ

  • সভাপতি অনধিক সাত সদস্যের একটি এডহোক কমিটি গঠন করে দিবেন।

সাত সদস্য বিশিষ্ট এডহোক কমিটি নিম্নরুপঃ

১. সভাপতি

২. সাধারণ সম্পাদক

৩. কোষাধ্যক্ষ

৪. সাংগঠনিক সম্পাদক

৫. গ্রন্থাগার সম্পাদক

৬. দপ্তর সম্পাদক

৭. সদস্য

  • এডহোক কমিটির কাজ হবে প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন রুটিন কার্যক্রম পরিছালনা করা এবং তিন মাস সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা।

অনুচ্ছেদ-১৮। উপদেষ্টা পরিষদ গঠনঃ

  • নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের পর কার্যনির্বাহী পরিষদ উপদেষ্টা পরিষদকে পূর্ণগঠন করতে পারবে অন্যথায় পুরাতন পরিষদ বহাল থাকবে।

অনুচ্ছেদ-১৯। কার্যনির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব ও ক্ষমতাঃ

১. সভাপতিঃ

  • সভাপতি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
  • তিনি প্রতিষ্ঠানের সাধারণ পরিষদ ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
  • কোন বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে তিনি চূড়ান্ত সিন্ধান্ত প্রদান করবেন।
  • তিনি সাধারণ সম্পাদক অথবা কোষাধ্যক্ষের সাথে যৌথভাবে (যুগ্ম স্বাক্ষরে) প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করবেন।
  • তিনি সমস্ত প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজের চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করবেন।
  • সভাপতি বার্ষিক সাধারণ সভা, অতিরিক্ত/জরুরী/বিশেষ সাধারণ সভা ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা আহবান করতে পারবেন।
  • বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যাবলীর প্রতিবেদন পেশ করতে পারবেন।
  • সর্ব প্রকার সভার অনুমতি পত্র প্রদান করা।

২. সহ-সভাপতিঃ

  • সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন।
  • সভাপতির ও কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অর্পিত যে কোন সুনিদিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন।

৩. সাধারণ সম্পাদকঃ

  • প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র হিসাবে দায়িত্ব পালন।
  • প্রতিষ্ঠানের মুখ্য নির্বাহী হিসাবে দায়িত্ব পালন।
  • সভাপতির অনুমতিক্রমে (লিখিত অনুমতিপত্র প্রদান) বার্ষিক সাধারণ সভা, অতিরিক্ত/জরুরী/বিশেষ সাধারণ সভা ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা আহবান করা।
  • সভাপতির সাথে যৌথভাবে (যুগ্ম স্বাক্ষরে) প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করা।
  • বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যাবলীর প্রতিবেদন পেশ।
  • নির্বাহী পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাজের তদারকী করা।
  • প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় সম্পদের সুরক্ষার দায়িত্ব পালন।

 

৪. সহ-সাধারন সম্পাদকঃ

  • সাধারন সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তাঁর দায়িত্ব পালন।
  • সাধারণ সম্পাদককে তাঁর সকল দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা।
  • সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যে কোন সুনিদিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন।

৫. সাংগঠনিক সম্পাদকঃ

  • প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্ব পালন।
  • সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যে কোন সুনিদিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন।

৬. কোষাধ্যক্ষঃ

  • প্রতিষ্ঠানের তহবিল সংরক্ষনের দায়িত্ব পালন।
  • বার্ষিক বাজেট প্রনয়ন ও কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে সাধারণ সভায় উপস্থাপন।
  • প্রতিষ্ঠানের বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ও উদ্বৃত্ত পত্রের বিবরণী তৈরি ও হিসাব নিরীক্ষায় সহায়তা প্রদান ও বার্ষিক সাধারণ সভায় নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন।
  • সদস্য চাঁদা ও অন্যান্য সরকারী বেসরকারী অনুদান গ্রহন/সংগ্রহ ও তা ব্যাংক হিসাবে জমাকরন।
  • সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যে কোন সুনিদিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন।
  • সভাপতির সাথে যৌথভাবে (যুগ্ম স্বাক্ষরে) প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করা।

৭. গ্রন্থাগার সম্পাদকঃ

  • প্রতিষ্ঠান বা পাঠাগার পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় বিধিবিধান প্রদান।
  • পাঠাগার পরিচালনার ক্ষেত্রে লাইব্রেরিয়ান ও লাইব্রেরির কর্মীদের কাজের তদারকী।
  • সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যে কোন সুনিদিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন।

৮. সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ      

  • পাঠাগারকে কেন্দ্র করে এলাকার সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি এবং এ সংক্রান্ত নানা কর্মসূচী প্রনয়ন ও কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন।
  • সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যে কোন সুনিদিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন।

৯. সমাজকল্যাণ সম্পাদকঃ

  • পাঠাগারকে কেন্দ্র করে এলাকার জনগনের মধ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, পরিবেশ সংরক্ষন, নিরক্ষরতা দূরীকরণ ইত্যাদি নানা কর্মসূচী প্রনয়ন ও কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমতিক্রমে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন।
  • সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যে কোন সুনিদিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন।

১০. দপ্তর সম্পাদকঃ

  • দাপ্তরিক রেকর্ডপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণ এবং প্রতিষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্ব পালন।
  • সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যে কোন সুনিদিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন।

১১. সন্মানিত সদসসঃ

  • কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা প্রদান।
  • সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যে কোন সুনিদিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন।

অনুচ্ছেদ-২০। পদত্যাগ/ পদ শূন্যঃ

  • কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন কর্মকর্তা পদত্যাগ করলে পরিষদের পরবর্তী সভায় আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
  • কার্যনির্বাহী পরিষদের যে কোন পদ হইতে পদত্যাগ বা অন্য কোন কারণে পদ শূন্য হলে আজীবন সদস্য দ্বারা মনোনয়ন/নির্বাচনের মাধ্যমে শূন্য পদ পূরণ করা হবে।

অনুচ্ছেদ-২১। সভাসমুহঃ

১. সাধারণ সভাঃ

বছরে অন্ততঃ একবার সাধারণ সভার আহবান করতে হবে। সভা অনুষ্ঠানের নিদিষ্ট তারিখের অন্ততঃ ১৫ (পনের) দিন পূর্বে সুনিদিষ্ট আলোচ্যসূচীসহ সভার বিজ্ঞপ্তি জারী করবেন।

২. বিশেষ সাধারণ সভাঃ

প্রয়োজনে যে কোন সময় সভাপতি ৭ (সাত) দিনের নোটিশে বিশেষ সাধারণ সভার আহবান করতে পারবেন।

৩. জরুরি/অতিরিক্ত সাধারণ সভাঃ

সভাপতির অনুমতিক্রমে (লিখিত অনুমতিপত্র প্রদান)সাধারন সম্পাদক ৭ (সাত) দিনের নোটিশে সুনিদিষ্ট আলোচ্যসূচীসহ জরুরি/অতিরিক্ত সাধারণ সভা আহবান করতে পারেন।

৪. কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাঃ

সাধারণ অবস্থায় মাসে একবার অথবা তা সম্ভব না হলে অন্ততঃ তিন মাসে একবার কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হতে হবে। সভাপতির অনুমতিক্রমে (লিখিত অনুমতিপত্র প্রদান)সাধারন সম্পাদক সাধারণ অবস্থায় ৭ (সাত) দিনের নোটিশে সুনিদিষ্ট আলোচ্যসূচীসহ জরুরি সভার ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টার নোটিশে সভা আহবান করবেন।

৫. উপদেষ্টা পরিষদের সভাঃ

প্রধান উপদেষ্টার অনুমতিক্রমে (লিখিত অনুমতিপত্র প্রদান)সাধারন সম্পাদক যে কোন সময় ৭ (সাত) দিনের নোটিশে সুনিদিষ্ট আলোচ্যসূচীসহ উপদেষ্টা পরিষদের সভা আহবান করবেন।

অনুচ্ছেদ-২২। কোরামঃ  

মোট সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ উপস্থিতিতে যে কোন সভার কোরাম পূর্ণ হবে।

অনুচ্ছেদ-২৩। তহবিল সংগ্রহ এবং ব্যবহারঃ  

গ্রন্থাগারের উদ্দেশ্যে সকল প্রকার সহায়তা, অনুদান, উপকার, চাঁদা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও গ্রন্থাগারটি দেশ-বিদেশ থেকে অনুরূপ অন্য কোনও সংস্থার অনুদান গ্রহণ করতে পারে যা গ্রন্থাগারের উন্নয়ন এবং বিকাশের জন্য ব্যবহার করা হবে।

অনুচ্ছেদ-২৪। তহবিল সংরক্ষন ও পরিচালনাঃ

  • প্রতিষ্ঠানের অর্থ যে কোন তফসিলি ব্যাংকে চলতি অথবা সঞ্চয়ী হিসাব খুলে সেখানে জমা ও উত্তোলনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • সভাপতির সাথে সাধারন সম্পাদক অথবা কোষাধ্যক্ষ যৌথভাবে (যুগ্ম স্বাক্ষরে) প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হবে।
  • প্রতিষ্ঠানের তাৎক্ষণিক ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা নগদ হাতে রাখা যাবে,

অনুচ্ছেদ-২৫। হিসাব নিরীক্ষাঃ

  • প্রতিষ্ঠানের প্রতি বছর একটি হিসাব নিরীক্ষা কমিটি গঠন করে উক্ত কমিটির মাধ্যমে অথবা চার্টার্ড একাউটিং ফার্মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ও উদ্বৃত্ত পত্রের বিবরণী তৈরি করে তার প্রতিবেদন সাধারণ সভায় পেশ ও উক্ত প্রতিবেদন সাধারন সভায় গৃহীত হতে হবে।

অনুচ্ছেদ-২৬। গঠনতন্ত্র সংশোধনঃ

  • গঠনতন্ত্রে কোনরূপ পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন বা সংশোধন করতে হলে তা সাধারন সভায় আজীবন সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের অনুমোদনক্রমে করা যাবে।
  • উক্ত পরিবর্তনে নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহন করতে হবে।

অনুচ্ছেদ-২৭। প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্তিঃ

যদি কোন কারণে প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্তি ঘটে, তখন আজীবন সদস্যদের সাধারন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় স্থাবর, অস্থাবর সম্পদাদি ও তহবিল অন্য কোন এক বা একাধিক অনুরূপ প্রতিষ্ঠানে দান করা যাবে।